অফিসের মেঝেতে পরে থাকা কন্ডোমের দায়িত্ব সকলে নিতে অস্বীকার করার কারণ জিজ্ঞাসা করেছিল ভিন গ্রহের জীব পি কে। প্রত্যুত্তরে ভারতের এক মিডিয়া কর্তা জানিয়েছিলেন, ভারতে যৌনতা খুব গোপন বিষয়। জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা পিকের দৌলতে এই চিত্রটা সকলেরই জানা। এই গোপনীয়তা গোপন রাখতেই বেশি স্বচ্ছন্দ ভারতীয় মহিলারা। কিন্তু তুলনায় ভারতীয় পুরুষরা কিছুটা সাবলীল প্রকাশ্যে যৌনতার বিষয়ে আলোচনা করতে।
প্রচলিত এই চেনা চিত্রটা বদলাতে শুরু করছে বলে দাবি করছেন ভারতের বিখ্যাত যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মহিন্দর ওয়াতসা। ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বই শহর থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক সংবাদপত্রে নিয়মিত কলম লেখেন তিনি। যৌনতা সম্পর্কে মানুষের মন থেকে অজ্ঞতা দূর করতে তাঁর কলমের অনেকটা জায়গা জুড়ে থাকে যৌনাঙ্গের কথা। কলম লেখার সঙ্গে ‘আস্ক দ্যা সেক্সপার্ট’ নামের একটি কলমে উত্তর দিয়ে থাকেন পাঠকদের যৌনতা সংক্রান্ত প্রশ্নের। মহিন্দর বাবুর কথায়, “আমি যখন ‘আস্ক দ্যা সেক্সপার্ট’ কলমটি শুরু করেছিলাম তখন কোনও মহিলার প্রশ্ন পেতাম না। কিন্তু এখন ছবিটা অনেক পাল্টেছে। এখন মোট মেইল বা চিঠির ৩০ শতাংশর প্রেরক মহিলা।” একাধিক মহিলা ‘গ্রুপ সেক্স’ সম্পর্কেও জানতে চেয়ে মেল করেছেন।
যৌনতার বিষয়ে একবিংশ শতকেও বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা আছে মানুষদের মধ্যে। অজ্ঞতাই এর প্রধান কারণ বলে মনে করেন ডাঃ মহিন্দর ওয়াতসা। ৯১ বছর বয়সী এই যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে, ভারতের অধিকাংশ স্কুলে এখনও যৌন শিক্ষা বা সেক্স এডুকেশনের ব্যবস্থা নাই। সেই কারণেই যৌনতার বিষয়ে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয় মানুষের মধ্যে। অনেকেই এমন কিছু প্রশ্ন করে থাকেন যেগুলির কোনও মানেই হয়না। তাঁর লেখা কলম ‘শিশু মনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে’ বলে থানায় অভিযোগ করেছিলেন এক দম্পতি। যৌনতার বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ওয়াতসা।
এই যৌন অজ্ঞতার ভুরি ভুরি উদাহরণ ডাঃ মহিন্দর দেখতে পান ‘আস্ক দ্যা সেক্সপার্ট’-এ আসা প্রশ্নগুলিতে। একটি ছেলে বিয়ে করার আগে নাকি জানতে চেয়েছিলেন, “কি করে বুঝবো আমার হবু স্ত্রী ভার্জিন?” মহিন্দর বাবু উত্তরে বলেছিলেন, “আপনি হবু স্ত্রীর অতীত জানার জন্য গোয়েন্দা নিয়োগ করুন।” অন্য আরেক জনের জিজ্ঞাসা ছিল, “একটি মেয়ে একসময়ে দু’জনের সঙ্গে সঙ্গম করলে আগত সন্তানের জন্য কোন ছেলেটির শুক্রাণু দায়ী?” এর জবাব ছিল, “আপনি এই সংবাদপত্রের ‘সমস্যা সৃষ্টি’ বিভাগে চাকরির আবেদন করুন।” অনেক পুরুষের আবার নানাবিধ প্রশ্ন থাকে ‘হস্তমৈথুন’ নিয়ে। ‘হস্তমৈথুন’-এর প্রভাব নিয়ে সবাই চিন্তিত থাকলেও অনেকেই এই অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেননি বলে দাবি বর্ষীয়ান চিকিৎসকের। অনেক ছেলে নাকি মাথার চুল পড়ার জন্যেও হস্তমৈথুনকে দায়ী করেন।
মানুষের মনের মধ্যে থেকে যৌনতা সম্পর্কিত অজ্ঞতা দূর করার জন্য ডাঃ মহিন্দর ওয়াতসার কলম খুবই জনপ্রিয়। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকে কমেন্ট শেয়ারের বন্যা লেগে থাকে। সংবাদপত্রের চাহিদাও বেড়ে যায় বয়সে সেঞ্চুরির কোঠায় পা রাখা যৌন রোগ বিশেষজ্ঞের কলম যেদিন প্রকাশিত হয়।
The post group sex-এ প্রাপ্তবয়স্ক হচ্ছেন ভারতীয় মহিলারা, বলছেন সেক্সগুরু appeared first on Durnitynews24.com : : দুর্নীতি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম.