সাংবাদিক শফিক রেহমান এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান। তিনি বলেছেন, তাকে (শফিক রেহমান) গ্রেফতার সরকারের চরম স্বেচ্ছাচারিতারই বহিঃপ্রকাশ।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের পক্ষে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো বিবৃতিতে শফিক রেহমানকে তার বাসা থেকে সাদা পোষাকের পুলিশ দিয়ে তুলে নেওয়ার নিন্দা জানানো হয়। খালেদা জিয়া বলেন, ‘শফিক রেহমান সত্য উচ্চারণের অবিচল এক সাহসী কলমযোদ্ধা। তাকে কব্জা করতে না পেরে সাজানো মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা সরকারের চরম স্বেচ্ছাচারিতারই বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি বিবৃতিতে বলেন, ‘বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার কষ্টার্জিত বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জনগণের বিরুদ্ধে এখন যুদ্ধ শুরু করেছে। সরকারের অপকীর্তি ও লাগামহীন দুর্নীতির কারনে পায়ের নীচের মাটি সরে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে দেশকে নিক্ষেপ করা হচ্ছে এক ভয়ংকর অতল গভীর খাদে। সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করতে তাদের ওপর চলছে দলন-পীড়ন। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সাজানো মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেশের প্রতিথযশা সাংবাদিক এবং সম্পাদকদেরও গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তাদের দুরভিসন্ধি ও নির্মম আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটলো অশীতিপর, দুর্জয় সাহসী সাংবাদিক ও কলামিষ্ট শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এ জন্য যে, তিনি বর্তমান শাসগোষ্ঠীর অনাচার, ব্যর্থতা ও কুপমন্ডুকতার বিরুদ্ধে অবিচল নির্ভয়ে লিখে যান। এই ঘৃন্য অপকর্মটি করার আরেকটি কারণ হলো-বর্তমান সরকার প্রধানের গণবিরোধী, অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারী নীতি শফিক রেহমান তাঁর শাণিত লেখনির দ্বারা ফুটিয়ে তোলেন।’
তিনি বিবৃতিতে শফিক রেহমানকে ‘সত্য উচ্চারণে অবিচল ও সাহসী কলমযোদ্ধা’ উল্লেখ করে বলেন, তাঁকে কব্জা করতে না পেরে গ্রেফতার করা হয়েছে, এটি সরকারের চরম স্বেচ্ছাচারিতারই বহিঃপ্রকাশ। দেশে আজ সম্মানী ব্যক্তি ও সুধীজনদের মানহানী, গ্রেফতার করে কন্ঠরোধ এবং নির্যাতনের মাধ্যমে তাঁদের নির্বাক করার হীন অপচেষ্টার কোনো অন্ত নেই। এটাই বর্তমান সরকারের সাধারণ বৈশিষ্ট্য।’
The post শফিক রেহমানের মুক্তি চাইলেন খালেদা জিয়া appeared first on Durnitynews24.com : : দুর্নীতি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম.